প্রকাশিত: ১৪/০৩/২০২১ ৯:১৪ এএম

বিবিসি::
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের পর লুকিয়ে থাকা রাজনীতিবিদরা ঘোষণা দিয়েছেন যে, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চলবে।

লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির প্রধান মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ”এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে।”

একদল আইন প্রণেতাকে নিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন মি. থান, যারা গত মাসের অভ্যুত্থান মেনে নেননি। তারা নিজেদের মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করছে।

সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে গতকাল শনিবারই অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

পয়লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেত্রী অং সান সু চিকেও গ্রেপ্তার করেছে সামরিক জান্তা।

গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় পেয়েছিল এনএলডি, তবে সামরিক বাহিনীর দাবি, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।

এনএলডির যে এমপিরা গ্রেপ্তার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন, যার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ), যার ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান।

মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছে সিআরপিএইচ।

একটি ফেসবুক বার্তায় মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ”এটা এমন একটা সময় যখন অন্ধকারে বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে।”

”অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে,” তিনি বলছেন।

সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে মনে করে সামরিক বাহিনী। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে।

মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবি করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দ্বিমত রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি।

গত সপ্তাহেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয় লাখ ডলার আর ১১ কেজি স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগ এনেছে সামরিক বাহিনী। যদিও এর সপক্ষে এখনো কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এনএলডি আইন প্রণেতারা।

গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে সামরিক বাহিনী। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে, ভয়ভীতি তৈরি করা, অবৈধভাবে রেডিও সরঞ্জাম রাখা এবং কোভিড-১৯ নিয়মনীতি ভঙ্গ করা।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভ দমনে সহিংস পন্থা নিয়েছে সামরিক বাহিনী, যার ফলে অনেক মানুষ এর মধ্যেই নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর নিন্দা জানিয়েছে

পাঠকের মতামত

থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য চেন্নাইয়ের রাজধানী তামিলনাড়ুতে দেশটির রাজনীতিক ও অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ...

আরসা হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত আরাকান আর্মিপ্রধানের

বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির ঘাঁটিতে ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহী’রা হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন সশস্ত্র সংগঠনটির কমান্ডার ...

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...